ঢাকা
১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৯:৪১
প্রকাশিত : জানুয়ারি ১২, ২০২৫
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২৫
প্রকাশিত : জানুয়ারি ১২, ২০২৫

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিলো ২০২৪

২০২৪ সাল ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার পর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা সিথ্রিএস -এর তথ্যানুযায়ী, গত বছর গ্রহটির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। যে কারণে বন্যা, খরা কিংবা তীব্র দাবদাহে নজিরবিহীন ভোগান্তি হতে পারে পৃথিবীবাসীর।

জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত বিপর্যয়, বায়ূ দূষণসহ নানা কারণেই বিপর্যস্ত ছিল গত বছর। তবে, এরমধ্যে সবচেয়ে আলোচিত যে বিষয়টি ছিল তা হলো এল নিনোর প্রভাব। নাসা এবং বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, এল নিনোর প্রভাবে ২০২৪-ই ছিল সবচেয়ে উষ্ণ বছর।

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা সিথ্রিএস বলছে, ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল কিংবা শিল্প পূর্ব যুগের তুলনায় গত বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। অর্থাৎ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়েছে যা বর্তমান যুগের মানুষ আগে কখনও অনুভব করেনি।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার যুগ্ম-মহাসচিব কো ব্যারেট বলেন, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা নিশ্চিত করছে যে, রেকর্ড করা বছরগুলোর মধ্যে ২০২৪-ই সবচেয়ে উষ্ণবছর। প্রাক শিল্প যুগের চেয়েও দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি দেখা গেছে বছরটিতে। গত ১০ বছরের প্রতিটিই ছিল উষ্ণতম বছর। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রাও রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।

জলবায়ু সংস্থাগুলোর গবেষণা অনুযায়ী, বিদায়ী বছরের প্রত্যেক মাসই আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ উষ্ণ কিংবা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণ ছিল। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়াবহ দুর্যোগে পড়বে বিশ্ববাসী; শঙ্কা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার।

নাসার বিজ্ঞানী ড. ক্যাথরিন ক্যালভিন বলেন, বর্ধিত তাপমাত্রার প্রভাব সারাবিশ্বেই অনুভূত হচ্ছে। আপনি কোথায় বাস করছেন তার ওপর নির্ভর করে প্রভাব পড়ছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা জলোচ্ছ্বাস কিংবা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। কিছু কিছু জায়গায় তীব্র তাপদাহের ঘটনা ঘটছে।

পানিচক্রেও পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্যই কোথাও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে আবার কোথাও একদমই বৃষ্টি নেই। ভবিষ্যতে এই প্রভাবগুলো আরও বাড়বে।

সাধারণত বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য গ্রিন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণকেই সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়। যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মতো পরাশক্তিগুলো। গত বছর কার্বন নিঃসরণের মাত্রা যুক্তরাষ্ট্র ৬ শতাংশ কমলেও বেড়েছে বেইজিংয়ের।

প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
সম্পাদকঃ এডভোকেট মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮, মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1840 474666 +880 1736 786915, 
+880 1300 126 624, ইমেইল: online.bdsangbad@gmail.com (online), news.bdsangbad@gmail.com (print), ads.bdsangbad@gmail.com (adv) 
বাংলাদেশ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram