জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি। প্রাদেশিক নির্বাচনে এক দশকের মধ্যে দলটির সবচেয়ে খারাপ ফলাফল এটি। এমনকি জোট হিসেবেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারেনি এলডিপি। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এলডিপি ও কোমেই জোট পেয়েছে ২০৮টি আসন। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত আসনসংখ্যা ২৩৫। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৩৩ আসন।
স্থানীয় সময় (২৭ অক্টোবর) রোববার সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ২ কোটি ৯ লাখ ৫৫ হাজার ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরই শুরু হয় ভোট গণনা। একে একে প্রকাশ হতে থাকে ফল।
জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে মোট আসন ৪৬৫টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৩৩ আসন। গতবার এলডিপি একাই পেয়েছিল ২৪৭ আসন।
তবে, এবার জোট হয়েও নির্দিষ্ট আসন পাচ্ছে না এলডিপি ও কোমেই। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত আসনসংখ্যা গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে প্রধান বিরোধী দল সিপিডি।
উল্লেখ্য, ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফলের মধ্য দিয়ে ইশিবা তার নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই হতে পারেন সবচেয়ে কম সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা জাপানের প্রধানমন্ত্রী।