বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
টেলিভিশন নেটওয়ার্কটির ভিডিও প্রতিবেদনে এমন সব মর্মান্তিক দৃশ্য উঠেছে, যা শিউরে উঠার মতো। নিহতের প্রায় সবাই নারী এবং শিশু। এই মানুষগুলোর একটু আগেও প্রাণ চাঞ্চল্য ছিল। ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় তরতাজা প্রাণগুলো নিমিষে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল।
নুসেইরাত শরণার্থী শিবির, গাজা জুড়ে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেওয়া একটি স্কুল। গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এখানে বহুবার হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্য সফরে এসে বছরব্যাপী ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় নতুন করে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। তবে এসবে থেমে নেই ইসরাইলি নিষ্ঠুরতা।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, নুসেইরাত ক্যাম্পের স্কুলে উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, স্কুলটি হামাসের কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরাইল উত্তর গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। যা ইসরাইলি আক্রমণের নতুন কেন্দ্রবিন্দু। বাসালের দাবি, চলতি মাসের ৬ অক্টোবর থেকে ৭৭০ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আপেক্ষিক নিরাপত্তার জন্য হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ গাজার দিকে পালিয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বৃহস্পতিবার বলেছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জাবালিয়া ক্যাম্পে কর্মরত উদ্ধারকর্মীদের ‘বোমা নিক্ষেপ ও হত্যা’ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে উত্তর গাজায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ইসরাইলি আক্রমণে তাদের তিনজন উদ্ধারকর্মী আহত এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে আরও পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছেন। উদ্ধারকর্মীদের জন্য একমাত্র ব্যবহৃত ফায়ার ইঞ্জিনটি ট্যাঙ্কের আগুনে ধ্বংস হয়ে গেছে।