লেবাননে অভিযানের পাশাপাশি গাজায়ও অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব। নতুন করে বুধবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও কমপক্ষে ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই উত্তরাঞ্চলের। সেখানে ছয় দিন ধরে অবরোধের কারণে জাতিসংঘের যেসব স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছিল এবং একই সঙ্গে হাসপাতালগুলো বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে পশ্চিম তীরে গুলি করে কমপক্ষে চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নাবলুস শহরের গভর্নর এই ঘটনাকে একটি কাপুরুষোচিত এবং ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননেও হামলা অব্যাহত রেখেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওয়ার্দানিয়েহতে কমপক্ষে পাঁচজন এবং টায়ার জেলায় আরও পাঁচজন প্যারামেডিককে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার শিকার হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরাও। ক্যাম্পটিতে আহত হয়েছেন আল জাজিরার এক ক্যামেরা পারসন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল ইয়েমেন আল সাঈদ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জনের। এটিসহ মোট তিনটি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রশাসন। যদিও এসব জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে শত শত ফিলিস্তিনি। চিকিৎসাধীন বহু।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন ইসরায়েলের বিমান বাহিনী হিজবুল্লার প্রায় ১৮৫টি এবং হামাসের ৪৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভবন, রকেট লঞ্চার এবং হামাস ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।