গতকাল ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও নিরাপত্তা লক্ষ্যবস্তুতে কয়েকডজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেছে ইরান। হামলার সময়, দেশটির বিভিন্ন শহরে বাজতে দেখা গেছে সতর্কতা সাইরেন। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ইসরায়েলিদের এদিক-ওদিক ছুটতে দেখা গেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলেছে যে গাজা ও লেবাননের মানুষের ওপর নির্বিচারে ইসরায়েলি হামলার পাশাপাশি শীর্ষ আইআরজিসি, হামাস এবং হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
তবে, এই হামলায় আরেক বিপদের আভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরানের প্রজেক্ট ডিরেক্টর আলী ভাইজ। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো টার্গেট করে ইসরায়েলি হামলার একটি ‘গুরুতর ঝুঁকি’ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইরানের প্রতিরক্ষামূলক ঢাল হিজবুল্লাহ’র নড়বড়ে অবস্থার কারণে এই শঙ্কা আরও তীব্রতর হচ্ছে। এছাড়াও, মার্কিন বাহিনী ইতিমধ্যেই এই অঞ্চলে ইসরায়েলকে রক্ষা করছে। মূলত, এই কারণেই ইসরায়েলের জন্য এটি একটি বড় হুমকি।
‘ইরানের এই আক্রমণ কূটনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও, ইসরায়েল তাতে সন্তুষ্ট হবে না। তাই আমি মনে করি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে’, উদ্বেগ প্রকাশ করে আলী ভাইজ বলেন।
এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে ইরান যেভাবে পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য চিন্তার কারণ হয়ে উঠছিলো, সেই কারণকে চিরতরে মুছে দিতে দেশটির এই হামলাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।