প্রায় পাঁচ হাজার পাউন্ডের বোমার আঘাতে কেঁপে উঠলো লেবাননের রাজধানী বৈরুত। কয়েক মিনিটের সিরিজ হামলায় মুহূর্তেই মাটির সাথে মিশে যায় দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকার কমপক্ষে ১০-১৫টি আবাসিক ভবন।
জানা গেছে, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। যদিও বিভিন্ন সূত্রের দাবি, হামলায় অক্ষত আছেন হিজবুল্লাহ প্রধান। এদিকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৬ জনের মরদেহ।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে দক্ষিণাঞ্চলীয় হারিত রিক এবং দাহিয়েহ এলাকা লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১৫টি মিসাইলসহ নতুন ধরনের বোমা ছোঁড়ে তেলআবিব। বাংকার বাস্টার নামক এই বোমার ওজন প্রায় ৫ হাজার পাউন্ড। যার আঘাতে পুরোপুরি মাটিতে মিশে যায় অন্তত ডজনখানেক আবাসিক ভবন।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, হিজবুল্লাহর মূল হেডকোয়ার্টার লক্ষ্য করে বোমা ফেলা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবি, টার্গেটে ছিলেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।
আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এ বিষয়ে বলেন, হিজবুল্লাহর সক্ষমতা আর তাদের কমান্ডারদের নিশ্চিহ্ন করতে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের হেডকোয়ার্টার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যেটি দক্ষিণ লেবাননের আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। আমাদের এই হামলা নির্ভুল এবং সুনির্দিষ্ট ছিল।
এদিকে হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। হতাহতদের উদ্ধার করে নেয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে আছেন বলে শঙ্কা স্থানীয়দের।
প্রসঙ্গত, হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ্য করে এর আগেও অঞ্চলটিতে একাধিকবার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। দাহিয়েহ এলাকায় প্রায় ৭ লাখ লেবানিজ বসবাস করেন।