আগামী মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের মূল পর্ব। এবারের প্রতিপাদ্য, টেকসই উন্নয়ন, বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মর্যাদাপূর্ন ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলা।
এবারের অধিবেশনে টেকসই উন্নয়ন, দ্বন্দ্ব নিরসন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। এছাড়া অধিবেশনে গুরুত্ব পেতে পারে গাজা-মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু। কারণ, গাজা থেকে ক্রমশই যুদ্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে। উঠে আসতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আলোচনাও।
এবারের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে নীতিগত পরিবর্তনের আভাস দেখছেন বিশ্লেষকরা। আলোচনার টেবিলে থাকবে জীবাশ্ম জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোও।
জাতিসংঘের বার্ষিক এই আয়োজনে স্বভাবতই নজর থাকে বিশ্ববাসীর। কেননা, রাষ্ট্রপ্রধানরা আলোচনা করেন সমসাময়িক নানা ইস্যুতে। তুলে ধরেন নিজেদের মতামত। আহ্বান জানান সংকট মোকাবেলার।
জাতিসংঘের প্রেসিডেন্ট ফিলেমন ইয়াং বলেন, গাজা উপত্যকা, হাইতি এবং ইউক্রেনের মতো জটিল সমস্যাগুলো সমাধানে অগ্রাধিকার দিতে অধিবেশনের প্রতি আহ্বান জানাবো। স্থায়ী সমাধান খোঁজার চেষ্টাও থাকবে। আমাদের মূল এজেন্ডাই থাকবে মানবাধিকার।
অধিবেশনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নীতিগত পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের গ্লোবাল ইউরোপ প্রোগ্রাম পরিচালক রবিন কুইনভিল জানান, অধিবেশনে এবার অনেক জরুরি বিষয় রয়েছে যার ওপর আলোচনা হতে পারে। যেমন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এটিই অধিবেশনের মুখ্য আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠবে। বিশ্বনেতারা এই বিষয়ে এবার নীতিগত পরিবর্তন আনতে পারেন। যা মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে।
জীবাশ্ম জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক সংকট নিয়েও আলোচনা হতে পারে অধিবেশনে। এছাড়া অধিবেশনের মূল পর্বে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শেষ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর।