লেবাননজুড়ে একের পর এক হামলার ঘটনায় আবারও আলোচনায় ইসরায়েল বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দুর্বলতা ইস্যুটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, হিজবুল্লাহর গোপন তথ্য ফাঁস করে চালানো হয়েছে এসব হামলা। যা অত্যন্ত দক্ষ এবং কার্যকর সংগঠন ছাড়া এতটা পরিকল্পিত হামলা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে উঠে আসছে ইসরায়েলের মোসাদের নাম।
হামাস-হিজবুল্লাহর মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা নতুন নয়। লেবাননে সাম্প্রতিক পেজার বিস্ফোরনের পর আবারও আলোচনায় এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর গোপনীয় এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এত বড় হামলার জন্য হিজবুল্লাহর ভেতর থেকেই তথ্য ফাঁস করা হয়েছে। অত্যন্ত শক্তিশালী এবং কার্যকর সংগঠন ছাড়া এটি সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন তারা।
হলন ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির সাইবার হেড ড. হারেল মিনাসরি বলেন, দীর্ঘ পরিকল্পনার পরই এ ধরণের হামলা করা হয়েছে। যারাই এধরণের হামলা করে থাকুক না কেন, এটা স্পষ্ট যে তারা অত্যন্ত কার্যকর। হিজবুল্লাহর সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে প্রবেশ করার দক্ষতা রয়েছেন তাদের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখানেই থেমে যাবে না মোসাদ। নতুন নতুন পন্হায় অব্যাহত থাকবে হিজবুল্লাহ-হামাসের মতো সংগঠনগুলোর ওপর ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা। ড. হারেল মিনাসরি বলেন, অবশ্যই কোনো লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই হামলা হয়েছে। আর এ ধরণের হামলা একবারই হয়। একই পদ্ধতি বারবার ব্যবহার করা হবে না।
এর আগে, ইরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং ইরাকে কুদস ব্রিগেডের প্রধান জেনারেল কাশেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পেছনেও দায়ি করা হয় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতাকে। এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ভেতর থেকেই গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে।