ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে কমপক্ষে ২৫০ জনকে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোরে রাজ্যের ওয়েনাদ জেলায় চার ঘণ্টায় মধ্যে এসব ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরে রাজ্যের চার জেলা ওয়েনাদ, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম ও কান্নুরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফ, কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কোর এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারযোগে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ওয়ানাডে ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৪৩ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আরও শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভূমিধসটি হয় মুণ্ডাক্কাই শহরে। তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। সেখানে উদ্ধার তৎপরতার মধ্যেই ভোর ৪টা নাগাদ চুরালমালায় একটি স্কুলের কাছে দ্বিতীয় দফায় ভূমিধস হয়। স্কুলটিকে একটি অস্থায়ী আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ভূমিধসে পুরো এলাকার সব দোকানপাট, বাড়িঘর পানি ও কাদায় ভরে যায়। এর মধ্যে একটি সেতু ভেঙে পড়ায় অঞ্চলটিতে প্রায় ৪০০ পরিবার আটকা পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ পাদিক্কাল পারাম্বান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মধ্যরাতের দিকে অন্তত তিনটি ভূমিধস হয়। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা রাঘবন সি অরুণামালা ওই এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া একজনকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনতে পাই। উদ্ধারকর্মীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দুর্যোগে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।