নদনদীর পানি কমতে থাকায় দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে সরেজমিন দেখা গেছে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে।
তবে এখনও পানিবন্দি দিন পার করছেন নিম্ন ও চরাঞ্চলের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। সড়কে পানি থাকায় ব্যাহ্ত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বন্ধ রয়েছে মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের ৩ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। নিমজ্জিত হয়ে আছে ১১ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
সিরাজগঞ্জেও কমছে যমুনার জল। কিন্তু ভোগান্তি কমেনি বানভাসিদের। দুর্গত এলাকাগুলোয় ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বানভাসীরা।
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হলেও অন্যান্য নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছতি ও সাঘাটায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি থাকায় দুর্গত এলাকাগুলোয় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট।
কুড়িগ্রামেও ধরলা, দুধকুমারসহ অন্য নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে।
এদিকে, নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় সুনামগঞ্জে কমতে শুরু করেছে সুরমার পানি। শহর থেকে পানি নেমে গেলেও হাওরাঞ্চলে অপরিবর্তিত রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।
এখনও পানিবন্দি সদর, শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্বরপুর ও তাহিরপুরের নিম্ন ও হাওরাঞ্চল। সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কে পানি থাকায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।