২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এই শতকেই মানুষের সংখ্যা স্পর্শ করবে হাজার কোটির ঘর। তবে কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমায় আছে উদ্বেগও। জাতিসংঘ বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ অন্তত ৬১টি দেশে জনসংখ্যা কমে যাবে। এর মধ্যে, ২৬ দেশে অন্তত ১০ শতাংশ মানুষ হ্রাস পাবে।
বিশ্বে জনসংখ্যা আটশো’ কোটির ঘর ছুঁয়েছিল ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর। বর্তমানে এ সংখ্যা আটশো’ ১২ কোটির বেশি। ২০১১ সালে সাতশো কোটি স্পর্শ করে মানুষের সংখ্যা। বিশ্বের জনসংখ্যা প্রথম শতকোটি ছুঁয়েছিল ১৮০৪ সালে। এরপর দু’শো বছরের মধ্যেই তা’ সাতগুণ বেড়ে যায়। আর সবশেষ ১০০ কোটি বেড়েছে মাত্র ১১ বছরে।
সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দুই দেশ চীন ও ভারত। দেশ দু’টিতে ১৪০ কোটি করে মানুষ বাস। তবে, ভারতে জন্মসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্মুখী হলেও চীনের ক্ষেত্রে চিত্রটা বিপরীত। দেশটিতে সন্তান জন্মদানে ব্যাপক অনিহার কারণে কমছে মানুষের সংখ্যা। এই শতকের শেষ নাগাদ, চীনের জনসংখ্যা নেমে যেতে পারে ১০০ কোটির নিচে।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, গত দুই শতকে লাফিয়ে লাগিয়ে বাড়ছিলো যে জনসংখ্যা, আগামী কয়েক দশকে তাতে লাগাম পড়বে। মানুষের সংখ্যা ৯ শ কোটি ছুঁতে লাগবে ১৫ বছর। ২০৫০ সালে দাঁড়াবে ৯৭০ কোটি। আর ২ হাজার ১০০ সালে জনসংখ্যা হবে ১ হাজার ৯০ কোটি।
২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের অন্তত ৬১টি দেশে কমবে জনসংখ্যা। এরমধ্যে, ২৬টি দেশ কমপক্ষে ১০ শতাংশ বাসিন্দা হারাবে। জাপান, ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, সার্বিয়া, মলদোভা, হাঙ্গেরি ও ইউক্রেনে কমতে পারে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। বেশকয়েকটি দেশের সরকার প্রনোদনা দেয়াসহ নানা উদ্যোগ নিয়েও সন্তান জন্মদানে মানুষের আগ্রহ বাড়াতে পারছে না।
১৯৮৯ সালের ১১ জুলাই ৫০০ কোটি স্পর্শ করে পৃথিবীর মানুষের সংখ্যা। এরপর থেকেই প্রতিবছর, ১১ জুলাই জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়।