ঢাবি প্রতিনিধি: চারদিন ধরে নিখোঁজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসানের সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টড এসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণপাড়া (ডুসাব) এর আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা নিখোঁজ খালেদ হাসানকে দ্রুত খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
মানববন্ধনে নিখোঁজ খালেদ হাসানের পরিবারের পক্ষ থেকে তার পিতা মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, বড় ভাই মেহেদী হাসান, তার মাদ্রাসা শিক্ষক, সহপাঠী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রজরা বক্তব্য রাখেন এবং দ্রুত তদন্ত করে তাকে খুঁজে বের করার আকুতি জানান।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টড এসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণপাড়া (ডুসাব) এর সাধারণ সম্পাদক মিরাজ ইসলাম বলেন, ‘গত শুক্রবার বিকাল থেকে খালেদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন করছি আপনারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন আমাদের ছোট ভাই খালেদকে খুঁজে বের করার জন্য। খালেদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। সে আমাকে তার প্রাণের ঝুঁকি সম্পর্কে বিভিন্ন ইশারা ইঙ্গিতে বলেছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে অনেকে প্রচার করছে খালেদ আত্মগোপনে গেছে। সে আত্মগোপনে থাকলে টানা ৩-৪ দিন আত্মগোপনে থাকবে না।’
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি জহুরুল হক হলের সিসিটিভি ফুটেজ আরও একবার চেক করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খালেদকে খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
এরপর খালেদের পিতা লুৎফর রহমান বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে খালেদকে খুঁজে পাওয়ার যাচ্ছে না। তার সন্ধান না পেয়ে আমরা সবাই মর্মাহত। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি তাকে খুঁজে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন। আরও ভালোভাবে চেষ্টা করে তাকে যেকোনো অবস্থায় দ্রুত খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। দেশবাসী ও ছাত্রদের কাছে অনুরোধ আপনারা আপনারা আমার ছেলেকে খুঁজে পেতে প্রশাসনকে সাহায্য করেন।’
খালেদের সাথে শেষবার কী কথা হয়েছিল জানতে চাইলে নিখোঁজ খালেদের বড় ভাই মেহেদী হাসান আমাদের বার্তাকে বলেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে তার সাথে স্বাভাবিক ভাবেই কথা হয়েছিল। জানা গেছে, সে শেষবার রিকশা নিয়ে কোথাও যাচ্ছিল।