ইবি প্রতিনিধি: সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (০৪ আগস্ট) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন কর্মসূচিতে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মহাসড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যান। শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার স্থানীয় এলাকাবাসী মহাসড়ক আটকে 'খুনি হাসিনা স্বৈরাচার, এই মুহুর্তে বাঙলা ছাড়'', এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা কবে যাবি', 'গোপালগঞ্জের গোলাপি, আর কতকাল জ্বালাবি'—সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভ চলাকালে মাস্ক পরা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এলাকায় শহিদুল ইসলাম (৫০) নামে এক আন্দোলনকারী জখম হয়। তার বাড়ি পূর্ব আবদালপূর, পিতার নাম ফজলুর রহমান। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
ডা. মিল্টন বলেন, তিনি আশঙ্কামুক্ত। গভীর ক্ষত হয়নি। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে। কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।
এদিকে বিক্ষোভ চলাকালে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের ইবি ফটকের উপর মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত বিলবোর্ড, ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানোর জন্য দেওয়া মাইক, পাশে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীদের মিছিল চলাকালে ফটকের সামনে আগে থেকেই অবস্থানরত পুলিশ, আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়। এসময় শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ পুলিশের দিকে এগিয়ে গেলেও অন্যরা মানবঢাল তৈরী করে পুলিশের উপর হামলা করা প্রতিহত করেন। পরে স্থানীয়রা যোগ দিলে পুলিশকে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে দেখা যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে যে গণজোয়ার উঠেছে তাকে আটকানোর জন্য সরকার গুজব ছড়ানো শুরু করেছে। কিন্তু কোনো গুজব ও বুলেট দিয়ে এ গণজোয়ার আটকানো সম্ভব না। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত দেশের আমজনতার আন্দোলন চলবে।