ঢাবি প্রতিনিধি: আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা আন্দোলনে নেমেছি, সেজন্য সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। আমরাও এই ভোগান্তি চাই না। আর এই ভোগান্তির জন্য সরকারকে দায় নিতে হবে। কোটার এই ইস্যুতে আমরা মনে করি সরকার ও নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার আছে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, বুধবার থেকে সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি থাকবে। আগামীকাল সকাল দশটায় ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হবে। ব্লকেডের মধ্যে সড়ক ও রেলপথ আওতাভুক্ত থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবা ও সাংবাদিকদের পরিবহনগুলো এই ব্লকেড কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা যে আন্দোলনটি চালিয়ে যাচ্ছি, এটি কোটা বাতিলের আন্দোলন নয়, আমাদের আন্দোলন হচ্ছে বাস্তবতার আলোকে ন্যায্যতার পর্যায়ে কোটা সংস্কার করা। আমরা বিভিন্নভাবে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার কোটার বিরোধী কিনা। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার বিরোধীতা করছি না, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সুযোগ সুবিধার বিরোধিতা না। কিন্তু আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিদের কোটার বিরোধীতা করছি।
নূন্যতম কোটা রাখা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি কোটা শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। আমারা ৫ পার্সেন্ট কোটা যৌক্তিক বলে বিবেচনা করছি। আমাদের মূল দাবি হলো নির্বাহী বিভাগের কাছে।
সকালে আদালতে দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনের বিষয়ে আরো সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, এটি আমাদের আন্দোলনের কোনো অংশ নয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী। নিজেদের ব্যক্তিগত আগ্রহের জায়গা থেকে এটি করেছেন। আমরা তাদের এই উদ্যোগ সমর্থন করছি। তবে এটি আমাদের আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত নয়।
তিনি আরও বলেন, রায় যেটায় হোক না কেন, আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত আসলে তো কোনো আসলে তো কথাই নেই, আন্দোলন চলমান থাকবে। তবে যদি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসে, আর আমাদের পরিপত্র বা লিখিত কোনো ডকুমেন্টের মাধ্যমে আশ্বস্ত করা হয় যে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করা হবে, তবে আমরা আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যাবো আনন্দ মিছিল করতে করতে।