ঢাকা
৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৬:৪০
প্রকাশিত : আগস্ট ১০, ২০২৫
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২৫
প্রকাশিত : আগস্ট ১০, ২০২৫

ট্রাভেল ব্যাগে আট টুকরা লাশ, স্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় খুন: র‍্যাব

নাসির উদ্দীন বুলবুল, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: স্ত্রী সম্পর্কে অনৈতিক কথা বলা ও আপন ভাগেনেকে মারধর করার কারণে অলি মিয়ার (৩৫) লাশ ৮ টুকরা করে আসামিরা। এরপর মাথা টয়লেটের ফলস ছাদে রেখে দুটি ট্রাভেল ব্যাগে ৮ টুকরা ভরে টঙ্গীতে রাস্তায় ফেলে দেয় খুনিরা।

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার তিন আসামির বরাত দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে র‍্যাব-১ এই তথ্য জানায়। আজ রোববার সকাল ১১টায় র‍্যাব-১ আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য প্রকাশ করে।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, নরসিংদী সদর থানার করিমপুর এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে আপেল মাহমুদ সাদেক (৪২), মজনু মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন রনি (২৫) ও আপেল মাহমুদের শাওন বেগম (৩২)। নিহত অলি মিয়া একই এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে। তারা সবাই টঙ্গী এলাকায় থাকতেন।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস্ অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) সালমান নূর আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৮ আগস্ট টঙ্গীতে ৮ টুকরা লাশ উদ্ধারের পর তারা ছায়া তদন্তে নামে। অতঃপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় পালিয়ে থাকা তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা নৃশংস খুনের দায় স্বীকার করে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়।

আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়, ভিকটিম অলি আসামি আপেল মাহমুদ সাদেকের স্ত্রীর চরিত্র সম্পর্কে খারাপ কথা বলায় সাদেক উত্তেজিত হয়। অতঃপর সাদেক ও সাজ্জাদ হোসেন রনি মিলে অলিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে ৬ আগস্ট কৌশলে টঙ্গীর বনমালা এলাকায় সাদেকের ভাড়া বাসায় অলিকে আনা হয়। এরপর সাদেক ও সাজ্জাদ মিলে অলিকে ট্রেনের নীচে ফেলে হত্যা করতে রেললাইনে নিয়ে যায়। কিন্তু কোনো ট্রেন না পাওয়ায় পুনরায় সাদেকের বাসায় ফিরে আসে তারা।

এর কিছুক্ষণ পর সাদেক ও রনি রুমের দরজা বন্ধ করে অলিকে হত্যা করে লাশ ৮ টুকরা করে। লাশের মাথাটি টয়লেটের ফলস ছাদে রাখা হয়। এই অবস্থায় দুই দিন কেটে গেলে লাশের গন্ধ বের হয়। পরে ৮ আগস্ট ভোরে দুই ব্যাগে লাশের টুকরা ভরে টঙ্গী-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশন রোডে ফেলে চলে যায় খুনিরা। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ লাশের টুকরা উদ্ধার করার পর র‍্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে।

এদিকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নরসিংদীর একই এলাকা করিমপুরের নাসির উদ্দিনের ছেলে বাপ্পী হোসেন (২৮) কে গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্যমতে, টঙ্গীর বনমালা রোডে আপেল মাহমুদ সাদেকের বাসা সন্ধান করে ভিকটিম অলির মাথা ও কাপড়চোপড় উদ্ধার করা হয়।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, এই মামলায় গাছা এলাকা থেকে বাপ্পী নামে একজনকে আটক করে তার দেওয়া তথ্যমতে, টঙ্গীর বনমালা এলাকায় আসামি সাদেকের বাসার টয়লেটের ফলস ছাদ থেকে নিহত অলির মাথা ও পরিধেয় কাপড়চোপড় উদ্ধার করা হয়েছে।

সর্বশেষ
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
সম্পাদকঃ এডভোকেট মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮, মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624, ইমেইল: online.bdsangbad@gmail.com (online)
news@bd-sangbad.com, ads@bd-sangbad.com
বাংলাদেশ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।  অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram