হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর হাতিয়া তমরোদ্দি লঞ্চ ঘাট দখলে নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তিরত আহতরা হলেন- লায়লা বেগম (৪০), কামরুল ইসলাম (৪০) ও হাসেম সর্দার (৫০)। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক লায়লা বেগমকে দায়িত্বরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে প্রেরণ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তমরোদ্দি লঞ্চঘাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোষ্টগার্ড গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
জানা যায়, তমরোদ্দি লঞ্চ ঘাটের মূল ইজারাদার ছিলেন গোলাম মাওলা কাজল। গেল বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী ইজারাদার কাজলের সাথে উপজেলা বিএনপি নেতা আলমগীরের একটা সমঝোতা হয়। যার ফলশ্রুতিতে উক্ত ঘাটের সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে বিএনপি নেতা আলমগীরের মাধ্যমে। তবে বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে নেননি তমরোদ্দি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি তানভীর হায়দার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তানভীরের অনুসারীরা দলবল নিয়ে ঘাটের দখল নিতে গেলে উভয়পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘাটের পাশে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের নারী পুরুষ সকলে এগিয়ে এলে সংঘর্ষে তারাও জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ, নৌবাহিনী ও তমরোদ্দি কোস্টগার্ড লঞ্চঘাটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয় বিএনপি নেতা আলমগীর জানান, ঘাটের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে তিনি জানান, প্রতিদিনের ঘাটের আয় থেকে চল্লিশ পারসেন্ট টাকা ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল নিয়ে যান। তিনি শুধু শ্রমিকদের দেখভাল করেন।
এদিকে প্রতিপক্ষ তানভীর হায়দারের মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা তদন্ত ওসি খোরশেদ আলম জানান, তমরোদ্দি ঘাট নিয়ে তানভীর ও আলমগীরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের কয়েকজন আহত হয়। পুলিশ ও নৌবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।