মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: ঘুম চোখে ট্রাক চালাচ্ছিলেন চালক। পথিমধ্যে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হেলে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওই আরোহী। দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যান কয়লাবোঝাই ট্রাক চালক ও সহকারী। নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম আক্তার হোসেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের নিজামপুর সরকারি কলেজ বাজারের ফুটওভার ব্রীজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আক্তার হোসেন উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামের মৃত রবিউল হোসেন রবির ছেলে। তিনি পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী। এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের ধাক্কায় মহাসড়কের পাশে থাকা একটি লেগুনার সামনের অংশও দুমড়েমুচড়ে যায়।
দুর্ঘটনা কবলিত লেগুনা চালক নুরুল মোস্তফা বলেন, বুধবার সকাল ৭ টার দিকে আমি গাড়িতে যাত্রী তুলতে মহাসড়কের পাশে দাঁড়াই। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী আক্তার হোসেন আমার গাড়ির পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে তার কিছু পণ্য আমার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য দরদাম করছিলেন। এমন সময় কয়লাবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের বিভাজকে এসে আছড়ে পড়ে। সড়ক বিভাজকের সাথে তীব্র ধাক্কায় ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে সেটি মোটরসাইকেল ও আমার গাড়ির উপর উল্টে পড়ে। ট্রাকের ধাক্কায় আমার লেগুনার সামনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পাই। কিন্তু মোটরসাইকেলসহ আক্তার হোসেন ট্রাকের নিচে চাপা পড়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
কুমিরা হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিজামপুর সরকারি কলেজ বাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী। তার স্বজনরা খবর পেয়ে মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। দুর্ঘটনার শিকার ট্রাক ও লেগুনা থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, চালক ঘুম চোখে ট্রাক চালাচ্ছিলেন। এই বিষয়ে আরো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।