নড়াইল প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, প্রশাসনিক সংস্কার ছাড়া জামায়াত নির্বাচন চায় না।
তিনি আরোও বলেন, জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনা ছিল একটি কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা থেকে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, আর এটি একটি অবাধ নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে নড়াইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা নুরন্নবী জিহাদীর জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী হামিদুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় আয়োজিত এ জানাজার নামাজে মিয়া গোলাম পরওয়ার ইমামতির দ্বায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কোনো প্রকার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ২০১৪, ১৮, ২৪’র মতই অর্থহীন হবে। সে কারণে কোনো প্রকার প্রশাসনিক সংস্কার ছাড়া জামায়াতে ইসলামী কোনো নির্বাচন চায় না। এ জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, দুর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসনের সকল বিভাগের সংস্কারে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন, এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য একটি সুষ্ঠু গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যেসব বিভাগ রয়েছে দ্রুততম সময়ে সেগুলো সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এটি সম্ভব। এরপরই জাতির সামনে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, “এত সংস্কার করা সম্ভব নয়। সংস্কার আর নির্বাচন একসাথে চলুক। সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া।” নানাভাবে তাঁরা বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনো রাজনৈতিক দলের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আমাদের জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমাদের আমীর জাতির উদ্দেশে আগেই বলেছেন, কোনো রকম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন ওই আগের মতোই হবে। আমাদের এই ১৫ বছরের এত শাহাদাত, এত রক্তদান, এত জীবন, এত কোরবানি সবকিছু বৃথা চলে যাবে। সেই জন্য সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়, এটাই আমাদের কথা।’
জানাজায় নড়াইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ্ব মনিরুল ইসলাম, নড়াইল জেলা জামায়াতের আমীর আতাউর রহমান বাচ্চু, সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার, হবখালি ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, জামায়াত নেতা মির্জা আশেক এলাহী, খুলনা মহানগর জামাতে আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, মাস্টার শফিকুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, মাগুরা জেলা জামাতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবু বাকের, জাকির হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের জেলা আমীর মাওলানা খায়জ্জামান, অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন সহ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।