গাজীপুর প্রতিনিধি: যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সরকার মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে টঙ্গীতে এক প্রস্তুতি সভায় বক্তারা বলেছেন, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ড ছিল আওয়ামী লীগের একটি মাস্টার প্ল্যান। এই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তৎকালীন জোট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিল। যার ফলে বিএনপি তথা জোট সরকারের ওপর এই হত্যাকান্ডের দায় চাপিয়ে আওয়ামী লীগ সারাদেশ অচল করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এই হত্যাকান্ড আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত থাকায় তাদের মাস্টার প্ল্যান ব্যর্থ হয়।
বৃহম্পতিবার বিকেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকার মুক্তি আন্দোলনের এক প্রস্তুতি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, সারা টঙ্গী তথা গাজীপুরবাসী জানেন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরেই দলীয় লোকজনের হাতে আহসান উল্লাহ মাস্টার খুন হন। মামলার এজাহারেও আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। অথচ বিএনপি তথা তৎকালীন জোট সরকারের ওপর এই হত্যাকান্ডের দায় চাপাতে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকারকেও আসামি করা হয়।
আগামী ১১ই জানুয়রি শনিবার সকাল ১০টায় নুরল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে নূরুল ইসলাম সরকার মুক্তি পরিষদ। ওই সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে টঙ্গী চেরাগআলী সমাজকল্যাণ রোডে এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। নূরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহনূর ইসলাম রনির সভাপতিত্বে ও আজিজুল হক রাজু মাস্টারের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহবায়ক প্রভাষক বশির উদ্দিন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির রাজু, মহানগর যুবদলের আহবায়ক সাজেদুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহিম খান কালা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহাদাত হোসেন শাহিন, বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী, গাছা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন খান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ,শেখ মোঃ সুমন, টঙ্গী পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাতুল ভূঁইয়া প্রমুখ।
বক্তৃতায় রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টা হত্যা মামলায় নূরুল ইসলাম সরকারের ফাঁসি তো দূরের কথা তার কোনো ধরণের সাজাই হতে পারে না। কারণ তিনি আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ডে বিন্দু পরিমাণও জড়িত ছিলেন না, প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষীও নেই। শুধুমাত্র শুনা কথার সাক্ষীতে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখন ন্যায় বিচার পাওয়ার সময় এসেছে। এই সময়েও যদি আমরা ন্যায় বিচার না পাই তাহলে রাজধানীর প্রবেশমুখ টঙ্গী তথা গাজীপুর অচল করে দেয়া হবে।
হুমায়ুন কবির রাজু বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ড ছিল আওয়ামী লীগের একটি মাস্টার প্ল্যান। এই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তৎকালীন জোট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিল। যার ফলে তারা গাজীপুরে কল্পিত খোয়াব ভবনে কথিত পরিকল্পনার গল্প গোজব ছড়িয়ে বিএনপি তথা জোট সরকারের ওপর এই হত্যাকান্ডের দায় চাপানোর অপচেষ্টা করেছিল।