ঢাকা
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১১:১৪
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

মুরাদনগরে গোমতীর পানি কমার সাথে সাথে তীব্র হচ্ছে ভাঙ্গন

মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: ভারতের উজান থেকে আসা গোমতীর পানি কমার সাথে সাথে নদীর তীরবর্তী কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা সদরের চৌধুরীকান্দি ও দিলালপুর এলাকায় তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। ইতিমধ্যে অন্তত ২০টি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে আছে অর্ধশতাধিক পরিবারসহ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এখনই ভাঙ্গন ঠেকাতে না পারলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে কয়েকটি গ্রামসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের চৌধুরীকান্দি ও দিলাপুর এলাকায় নদীর তীরবর্তী ঘরবাড়ি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে ভিটাবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে আনোয়ার হোসেন, রিপন মিয়া, শহিদ মিয়া, রাজু মিয়া, সাজু মিয়া, আনিছ মিয়া, শরিফ মিয়া, শাহিনুর বেগম, সকিনা বেগম, হাছান মিয়া, নুরুল ইসলাম, নয়ন মিয়া, হক মিয়াসহ অন্তত ২০টি পরিবার। এছাড়াও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কবরস্থান, বৈদ্যুৎতিক খুঁটি, হাঁস-মুরগির খামার ও মাছের পুকুরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বর্তমানে নদীর তীরবর্তী আরো বেশ কয়েকটি পরিবার নদী ভাঙ্গনের আতঙ্কে খোলা আকাশের নিচে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। অনেকেই বসতভিটা থেকে থাকার একমাত্র আশ্রয়স্থলটুকু ভেঙ্গে নিয়ে গেছে অন্যত্র। সর্বক্ষণ ভাঙ্গন আতঙ্কে, অনিদ্রা, অনাহারে প্রহর গুনছেন সহায়সম্বলহীন এই মানুষগুলো।

আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ১০ বছরে আমাদের বসত বাড়িসহ আশেপাশের প্রায় দেড় শতাধিক বাড়িঘর গোমতী নদীর ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হয়েছে। বাপ-দাদার ভিটেমাটির কোনো চিহ্নই এখন নেই। বর্তমানে যেখানে আছি সেটিও বিলীন হওয়ার পথে। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব আতঙ্কে রয়েছি। সব সরকারের আমলেই আমরা এ বিষয়টি জানিয়েছি। জনপ্রতিনিধিরা এসে দেখে নদী ভাঙ্গন রোধের আশ্বাসও দিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

চার ছেলের চার ঘরসহ নিজের ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া সিএনজি চালক রিপন মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার সব শেষ হইয়া গেছে। আমি বাচ্চা-কাচ্চা নিয়া এখন কই থাকমু। আমার থাকনের কোন জায়গা নাই। সরকার যদি আমাগোরে থাকনের ব্যবস্থা করে না দেয় তাহলে মরন ছাড়া উপায় নাই।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সিফাত উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে নদী পাড়ের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা গুলো চিহ্নিত করে কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে একটি তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে।

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, গোমতীর পানি কমার সাথে সাথে যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই আমরা সেগুলোর একটা তালিকা করে তা উপরমহলে পাঠিয়েছি। নদী ভাঙ্গন রোধে আমাদের কোন নিজস্ব বাজেট নেই, তাই আমরা নিজে থেকে কিছু করতে পারছি না।

সর্বশেষ
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
সম্পাদকঃ মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮, মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1840 474666 +880 1736 786915, 
+880 1300 126 624, ইমেইল: online.bdsangbad@gmail.com (online), news.bdsangbad@gmail.com (print), ads.bdsangbad@gmail.com (adv) 
বাংলাদেশ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram