জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার: ভারী বৃষ্টির কারণে পর্যটন শহর কক্সবাজারের অলিগলিসহ হোটেল মোটেল জোন ডুবে গেছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন পর্যটকসহ শহরবাসী।
পর্যটন শহরের কলাতলী ডলফিন মোড় থেকে শুরু হয়ে সুগন্ধা, লাবনী, বাজারঘাটা, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, বার্মিজ মার্কেট, টেকপাড়াসহ হোটেল মোটেল জোনের কোথাও হাটু পানি কোথাও কোমর পানিতে ডুবে গেছে।
পানি ঢুকে পড়েছে মোটেল জোনের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউজ, কটেজ, রেস্টুরেন্টসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
এছাড়া শহরের নিম্নাঞ্চল সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক, কুতুবদিয়া পাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। সদরের ঝিলংজা, উপজেলা গেইট, বাংলাবাজার, মোক্তারকুল, ডিককুল এবং পিএমখালীর নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।
এছাড়া রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি, খুনিয়া পালং, উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং, জালিয়া পালং, রত্না পালং রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নে অন্তত ৪০ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার আমন চাষাবাদ, ফসল ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তীব্র ঝড়ো বাতাসে কাঁচা ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে পড়েছে।
গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্থ হয়েছে। পুকুর ও প্রজেক্ট ডুবে মৎস্য চাষে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার উপকূলীয় এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায়। এ পরিস্থিতিতে দূর্গত এলাকার মানুষ দৃশ্যমান কোন সাহায্য সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধ্বসের শংকা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে আজ শুক্রবার ভোররাতে কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ডিককুল এবং উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নং ক্যাম্পে পাহাড় ধ্বসের পৃথক ঘটনায় দুই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাজুড়ে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নতুন করে বন্যা ও পাহাড় ধ্বসের আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকবে যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।