রাজধানীতে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও কুয়াশা বেড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ভোরে রাজধানীর সড়কে যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেখা মিলতে পারে সূর্যের।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে টঙ্গী, উত্তরা, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। তবে, ইসিবি, মিরপুর, শ্যাওড়াপারা, কাজীপাড়াসহ কিছু জায়গায় সূর্যের দেখাও মিলেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর কিছু জায়গা ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া। কুয়াশায় ভিজে আছে সড়ক। সকাল ৮টায়ও সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশা আর মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়েছে সূর্য। কোথাও কোথাও পরিবহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মিদিবস হওয়ায় রাস্তা-ঘাটে মানুষের চলাচল বাড়ছে। তবে থেমে নেই কর্মজীবী মানুষের চলাচল। চাকরিজীবীরা নির্ধারিত সময়েই বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়। পর্যাপ্ত গরম কাপড় না পরে বের হওয়া মানুষেরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
এছাড়া বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটেখাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষেরা। তাদের শীতে নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত কাপড়ও নেই। আবার ঘরে বসে থাকারও উপায় নেই।
বাইরে বের হওয়া কয়েকজন বলেন, এবার শীতটা কেমন যেন অদ্ভুত আচরণ করছে। হঠাৎ শীত বাড়ছে আবার কমছে। আজ আবার দেখা যাচ্ছে কুয়াশা অনেক বেশি।
এদিন সকাল আটটায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে আগামীকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ কদিন ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও দিনের বেলাতেও শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে।
আগামী কয়েকদিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। যা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সামায়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।