ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে টানা ৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ। সরকারি ছুটি অনুযায়ী, আগামী শনিবার পর্যন্ত ছুটি উপভোগ করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই ছুটির মধ্যেই কিছু মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন মেগা সিটি ঢাকায়। তবে সেটি সংখ্যায় খুবই সামান্য। ঢাকাবাসীও তেমন ঘর থেকে বের হননি।
ফলে গতকাল সকালেও ঢাকা কার্যত ফাঁকাই ছিল। রাজধানীর সড়কে বাড়তে শুরু করেছে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল। তবে সেটি যানজটের পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এর ফলে দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে উচ্ছ্বসিত নগরবাসী। কিন্তু মন খারাপ পরিবহন শ্রমিকদের।
যাত্রীরা বলছেন, তারা এক থেকে দেড় ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে পারছেন ১৫ মিনিটের মধ্যেই। এমন ঢাকা সব সময় থাকলে ভালোই হতো। অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, যে পরিমাণ যাত্রী পাচ্ছেন তাতে তেলের খরচই উঠবে না। গতকাল বুধবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজগেট, আসাদ গেট, ধানমন্ডি, কাওরান বাজার ও বাংলামোটর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই দিনের তুলনায় রাজধানীর সড়কে বৃদ্ধি পেয়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল ও যানবাহনের সংখ্যা। তবে অধিকাংশ গণপরিবহনে থাকছে আসন ফাঁকা। কর্মদিবসের ঢাকার মতো নেই যানজট। সেই সঙ্গে গণপরিবহনে গেটে যাত্রী ঝোলার চিত্রও দেখা মেলেনি। এছাড়াও বাস স্টপেজগুলোতে এসে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের শ্রমিকদের যাত্রী খোঁজার চিত্র ছিল চোখে পড়ার মতো। যাত্রীর অভাবে গণপরিবহনগুলো রাজধানীর বিভিন্ন স্টপেজে এসে কিছু সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকতেও দেখা যায়। এছাড়া সড়কের কোথাও যানজটের চিত্র দেখা মেলেনি।
উল্লেখ্য, প্রথমে ঈদ উপলক্ষ্যে পাঁচ দিন ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। পরে সেখানে নির্বাহী আদেশে ৩ এপ্রিলও ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর ফলে এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।