বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমায় আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূর্বের চাইতে অনেক বেশি গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। বিবদমান দুই পক্ষের সমঝোতায় এবার বিশ্ব ইজতেমায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইজিপি।
তিনি বলেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় প্রায় সাত হাজারের মতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও বিশ্ব ইজতেমার পক্ষ থেকে তাবলিগের কাজে নিয়োজিত প্রায় দশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি আরো বলেন, পুরো ইজতেমা ময়দানকে ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ইজতেমা এবার ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া র্যাবের হেলিকপ্টার টহল এবং নৌ পুলিশের সদস্যরা তুরাগ নদীতে স্পিড বোট দিয়ে টহল দেবেন। ইজতেমা ময়দানের আশপাশে ২০টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকুলারের মাধ্যমে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ইজতেমা ময়দানের অভ্যন্তরে প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
এসময় অতিরিক্ত আইজিপি আকরাম হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হাসান, তাহেরুল হক চৌহান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক, মাওলানা মাহফুজুল হক ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনি, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফ হাওলাদার, বিএনপি নেতা সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন উপস্থিত ছিলেন।
জিএমপির কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান বলেন, এবারের ইজতেমায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ২০টি মোবাইল টিম ও ২০টি চেকপোস্ট থাকবে। পুরো ইজতেমা মাঠ সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি ড্রোন ও হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার শুরায়ে নেজামের প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদপন্থিদের ইজতেমা শুরু হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৮ তম বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। এবারই টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ৩ পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দুই পর্ব শুরায়ে নেজামের সদস্য বা যোবায়ের অনুসারীরা অংশ গ্রহন করবেন এবং ৩য় পর্ব অংশ নেবেন সাদ অনুসারী মুসল্লিরা।