ঢাবি প্রতিনিধি: কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে তারা এ কর্মসূচি পালন করবেন।
বুধবারের কর্মসূচি পালন শেষে শাহবাগ মোড় থেকে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বাংলাদেশের আনাচেকানাচে, রাজপথে ও রেললাইনে শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে। বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে আমরা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করব। সারাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের নিকটস্থ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন।’
নির্বাহী বিভাগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিটি মেনে নিন, যাতে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে পারি, যাতে রোদের তাপে আমাদের পুড়তে না হয় এবং জনদুর্ভোগেরও সৃষ্টি না হয়।’
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ। চার সপ্তাহ পর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। এ সময়কালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে সরকারের দেয়া পরিপত্র বহাল থাকবে।
কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে বুধবার সকাল থেকেই সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে, আপিল বিভাগের এ সিদ্ধান্তে সমাধান দেখছেন না আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, তাদের দাবি সরকার অর্থ্যাৎ নির্বাহী বিভাগের কাছে। এ দাবি নির্বাহী বিভাগ থেকে যতক্ষণ না পূরণ করা হবে তারা রাজপথে থাকবেন।