ঢাকা
৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৮:২৬
প্রকাশিত : এপ্রিল ২০, ২০২৫
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৫
প্রকাশিত : এপ্রিল ২০, ২০২৫

বিএনপি-এনসিপির মধ্যে বাড়ছে তিক্ততা, সংঘাত ও প্রশাসনে অস্থিরতার শঙ্কা

সংস্কার ইস্যুতে বিএনপির সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতবিরোধ রয়েছে। গত বুধবার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এক মন্তব্যের জেরে বিরোধ আরও তীব্র হয়।

গত বুধবার মার্কিন প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকের পর নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বর্তমান মাঠ প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। অনেক জায়গায় প্রশাসন বিএনপির পক্ষে কাজ করছে। এই ধরণের প্রশাসন নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের একটি নিরপেক্ষে প্রশাসন ও পুলিশ নিশ্চিত করতে হবে।

নাহিদ ইসলামের এই মন্তব্য নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে এই মন্তব্যের বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা। তবে বিষয়টি নিয়ে দলীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। পাশাপাশি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও এনসিপি নেতাদের কর্মকাণ্ডের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার কথা জানায় বিএনপি।

নাহিদ ইসলামের এমন অভিযোগের সত্যতা আসলে কতটুকু? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান, মাঠ পর্যায়ে তাদের অসহায়ত্ব রয়েছে। তবে ভিন্ন মন্তব্য এনসিপি নেতা সারোয়ার তুষারের।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নাহিদ ইসলামের কথা সত্য হলে আমলে নেয়া যেত। কিন্তু তা মন্তব্যটি অবাস্তব। এই সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেখানে বিএনপির লোক কীভাবে থাকে?

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ডিসি, ইউএনও ও এসপিদের অফিসে বিএনপির একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারাও সেখানে গেলে বেগ পেতে হয়। কিন্তু বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও সেখানে বেশী সুবিধা পাচ্ছে।

এদিকে, এনসিপি নেতাদের অভিযোগকে ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি বলছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের দাবি, অপকর্মের সাথে বিএনপি জড়িত নয়। নতুন ও পুরাতন দুইটি দল জড়িত।

মির্জা আব্বাস বলেন, একটি পুরনো ও নতুন দল ঘোষণা দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। তারা বলছে, টাকার উৎস বলা যাবে না। এটার মানে কী? এ ধরণের কথার মানে আমরা বুঝি। চাঁদাবাজি সবাই করছে, কিন্তু নাম পড়ছে বিএনপির।

রাজনীতিতে এমন কাঁদাছোড়াছুড়ির ঘটনা নতুন নয়। এমনকি মাঠ প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগের বেশিরভাগই সত্য। তবে বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দলকে এখনই প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলা এনসিপি নেতাদের দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নয় বলে মত রাজনীতি বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদের। তিনি বলেন, এতে বরং সংঘাত বাড়বে ও প্রশাসনে অস্থিরতা তৈরি হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, এনসিপির রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আর বিএনপির অভিজ্ঞতা সমান নয়। সুতরাং এখানে তুলনা করে লাভ নেই। তাদেরকে আক্রমণ করলে তারা পাল্টা আক্রমণ করবেই। এমনটা একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের জন্য বিবেচনাপ্রসূত কাজ না।

ঐক্য ধরে রাখতে প্রকাশ্যে অভিযোগ না করে, অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার কাছে রাজনৈতিক দলগুলোকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শও দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই শিক্ষক।

প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
সম্পাদকঃ এডভোকেট মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮, মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1840 474666 +880 1736 786915, 
+880 1300 126 624, ইমেইল: online.bdsangbad@gmail.com (online), news.bdsangbad@gmail.com (print), ads.bdsangbad@gmail.com (adv) 
বাংলাদেশ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram