লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য কামরুল হাসানকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করেছে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম। এর আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ-২ ও ধানমন্ডি থানাধীন সোবাহানবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল (৪২) স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্যগড্ডিমারী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে। এছাড়াও তিনি হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার সাথে আটক অন্যজন হচ্ছেন কামরুল হাসান (৩২)। তিনি জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। এছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য। আটক দুইজনেই জয় বাংলা বিগ্রেডের সক্রিয় সদস্য।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে হত্যা চেষ্টার মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল। শ্যামলের অন্যতম সহযোগী কামরুল। তারা আত্মগোপনে থেকে পতিত আওয়ামী সরকারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এছাড়াও দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছিলেন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ইউটিউব চ্যানেল ও জুম প্লাটফর্মে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান বৈধ সরকারকে উৎখাত করে পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে এনে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা করছে তারা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা তথা জনশৃঙ্খলার ক্ষতিকর কার্য এবং বর্তমান বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণাবোধ সৃষ্টির অভিপ্রায়ে ধ্বংসাত্মক কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাদের কর্মী বাহিনীকে সংগঠিত করছে। যা ক্ষতিকর কার্যের শামিল।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ডিবি পুলিশের মাধ্যমে ঢাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে লালমনিহাটে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।