পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: জন্ম থেকে জ্বলছে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণকালে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করায় দিনের পর দিন খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ব্রয়লারের লিকেজ ও যান্ত্রিক ক্রুটি দেখা দেয়ায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কয়লা ভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতির শংকা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বোরো মৌসুম শুরু হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে পারেন বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের মালিক ও গ্রন্থথলির কাজের গ্রাহকগণ।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ইতোপূর্বে যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে ২০২০ সাল থেকে ১২৫ মেঃ ওয়াটের ২ নং ইউনিট বন্ধ ছিল। এর বাইরে উৎপাদনে থাকা ২৭৫ মেগাওয়াটের ৩য় ইউনিট ও ১২৫ মেগাওয়াটের ১ম ইউনিটের মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩য় ইউনিটটির বিয়ারিং ভেঙ্গে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। অপর দিকে চালু থাকা ১২৫ মেগাওয়াটের ১ম ইউনিটটি ব্রয়লারের কিউবে লিকেজ দেখা দেওয়ায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সেটিও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। এতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ৫২৫ মেগাওয়াটের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় ব্রয়লারের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ১ হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ কারণে ব্রয়লার ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত ব্রয়লার মেরামতের কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। প্রথমদিন থেকেই সাবধানতার সাথে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ মেরামত শেষ করে উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।