গাজীপুর প্রতিনিধি: এবারই প্রথম টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে প্রথম দুই পর্বই হবে যোবায়ের অনুসারী বা শুরায়ী নেজামের তাবলীগ মুসল্লিরা। আর তৃতীয় পর্বে বিশ্ব ইজতেমা করবেন সাদ কান্ধলিভ অনুসারী তাবলীগ মুসল্লিরা। তিন পর্বে বিশ্ব ইজতেমার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
এতে ৩১ জানুয়ারি থেকে দুই পর্বের ইজতেমা শুরু করে ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ করে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি শুরায়ী নেজামের তাবলীগ অনুসারীরা মাঠ প্রশাসনের নিকট বুঝিয়ে দিবেন। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদ কান্ধলিভ অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমা শুরু করে ১৭ ফেব্রুয়ারি মাঠ বুঝিয়ে দিবেন।
প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার মাঠ তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে দেশি বিদেশি তাবলীগের মেহমানরা মাঠ আসতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। ঢাকা ও তার আশপাশের তাবলীগ অনুসারীরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দিনরাত মাঠের সকল কাজ করে যাচ্ছেন।
সাদ কান্ধলিভ অনুসারীরা বলছেন, এবার আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করলো বর্তমান সরকার, আমরা আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম, ইনশাআল্লাহ মজলুমের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। টঙ্গীর সহিংসতা ঘটনার পূর্ব থেকেই সরকার আমাদের সাথে ওয়াদা খেলাফ করেছে, টঙ্গী ঘটনার পরে সরকার বিচারাধীন বিষয় আমাদেরকে দোষী বানাবার চেষ্টা করে ও আমাদের নিহত সাথীর পক্ষে সরকার থানায় মামলা গ্রহণ করেনি। এমনকি কোর্ট মামলা গ্রহণ করার অর্ডার দেয়া সত্ত্বেও সরকার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপিল করে। হেফাজতকে ২ পর্বের এজতেমার অনুমতি দেয়া এবং শুধু তাদের সাথে বৈঠক করে ফয়সালা করে আর আমাদেরকে ১৪ তারিখ ইজতেমা করতে সরকার চাপ দেয়। মেহনতকে সামনে রেখে আমাদের বড়রা আজ শুক্রবার ২৫ ফয়সালা করেন যে ইনশাআল্লাহ আমরা ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার টঙ্গীর ময়দানে করব।
তারা আরও একটি বিষয় অবগত করছে, সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদেরকে বলা হয়, আপনাদের লিখিত দিতে হবে যে এই বছরের পরে টঙ্গী ময়দানে আপনারা আর ইজতেমা করতে পারবেন না, তখন আমরা তাদেরকে বললাম এই বিষয়ে লিখিত রাখার এখতিয়ার আপনাদের নেই, কিসের ভিত্তিতে আপনারা আমাদেরকে এই বিষয়ে লিখিত দিতে বলেন। তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে জানানো হয় এই বিষয়টি তাদের সিদ্ধান্ত। তখন আমরা বলেছি, সেই সিদ্ধান্তর বিষয়ে আপনারা সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে লিখিত দেন, তখন আমরা চিন্তা করব লিখিত দেয়া যায় কিনা।