তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যুগের পর যুগ আফ্রিকাকে শোষণ করেছে। এটা শিখিয়েছে একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত রক্তক্ষয়ী সংঘাত এবং গণহত্যার ওপর নির্মিত হতে পারে না। বর্তমানে গাজা এবং লেবাননে একই সত্য স্পষ্ট হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ডেইলি সাবাহ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্ররা দাবি করছে, গাজা এবং লেবাননে শান্তি ফেরাতে চায় তারা। কিন্তু যেভাবে দিনের পর দিন বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার হামলা চলছে, তাতে কীভাবে শান্তি অর্জিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। উল্টো বর্বর হামলার পেছনে ইসরাইলকে অর্থ এবং অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে পশ্চিমারা।
বৃহস্পতিবার সেনেগালি প্রেসিডেন্ট বাসিরু দিওমায়ে ফায়ের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতার সময় পশ্চিমা নীতির সমালোচনা করেন এরদোগান। এ সময় তুর্কি রাষ্ট্রপ্রধান ইসরাইলের উপর আরও চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
এরদোয়ান সতর্ক করে বলেছেন, ‘লেবানন এবং গাজায় ইসরাইলের হামলার মধ্যে এই অঞ্চলে গুরুতর অগ্নিঝড়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি সমস্যা হবে’।
ফিলিস্তিনের বিষয়ে আফ্রিকান দেশগুলোর অবস্থানের প্রশংসা করে এরদোয়ান বলেন, তারা সাম্রাজ্যবাদের শিকার হওয়ায় নিপীড়ন, যুদ্ধ এবং গণহত্যা বলতে কী বোঝায় তারা বোঝেন।
এরদোগান বলেন, ‘ফিলিস্তিনি ও লেবাননের জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করাকে আমরা বাধ্যবাধকতা হিসেবে দেখি।’
এরদোগান বিশেষ করে ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্বের বিষয়ে সেনেগালের অবস্থানকে দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তিকে স্বাগত জানিয়েছে।
তুর্কি ইসরাইলি আগ্রাসনের কঠোর সমালোচক। গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ দিয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। একইসঙ্গে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে।