মাসুদুর রহমান খান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে গত ২৪ ঘন্টায় বন্যার পানি অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বন্যা এলাকার হতদরিদ্র ও শ্রমজীবী পরিবারগুলোতে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবারে কোন খাবার না থাকায় তারা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি সংস্থার ত্রাণ বিতরণ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সীমাবদ্ধ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন ত্রাণ নিয়ে এলেও রাস্তাঘাট গুলো হাঁটু পানি থেকে কোমর পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় এবং নৌকা না থাকায় তারা দুর্গম এলাকায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না বলে জানা গেছে।
অপরদিকে হাটবাজারগুলোর বেশিরভাগ দোকানপাট বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় এবং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় মালামাল আনা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় জেলার অধিকাংশ গ্রামীণ হাট-বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বন্যার পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে যাওয়ায় গত সোমবার দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সমাসপুর গ্রামে রুপক নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত রুপক ওই গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
লক্ষ্মীপুর জেলার ৯০ শতাংশ ভূমি পানির নীচে তলিয়ে থাকায় মৃত ব্যাক্তির লাশ দাফন করার ক্ষেত্রে গ্রামবাসী চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। অধিকাংশ মৃতদেহ বাঁশ ও কাঠের বাক্সবন্দি করে পানিতে ডুবিয়ে দিয়ে মাটিচাপা দিতে হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করা হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান।