স্থবিরতা কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করছে রাজধানী। খুলতে শুরু করেছে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে উপস্থিত তুলনামূলক কম। সোমবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়। এই পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার দেশের ব্যাংকও খুলেছে।
তবে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ঝুঁকি বিবেচনা করে ব্যাংকগুলো শাখা খোলা রাখতে পারবে; নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ব্যাংকগুলো সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছে, অতি জরুরি কাজ ছাড়া আজ কেউ ব্যাংকে আসছেন না। বেশির ভাগ এসেছেন নগদ অর্থ তুলতে। এটিএম বুথ চালু থাকায় অবশ্য শাখা থেকে নগদ টাকা তোলার চাহিদা কম। বড় অঙ্কের লেনদেন ছাড়া শাখায় আসার প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এমএফএসসহ সব সেবাই চালু আছে। আজ বুধবার থেকে দেশের সব তৈরি পোশাক শিল্পকারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
এদিকে মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনার পর সোমবার থেকে তিন দিনের (৫, ৬ ও ৭ আগস্ট) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ছুটির সময়ে দেশের সব ব্যাংক ও পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় আর্থিক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরবর্তীতে ৬ আগস্ট সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে। এর পরেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। সড়কে যান
চলাচল কম হলেও পণ্য পরিবহনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে কয়েক দিনের টানা বিক্ষোভ, সংঘাত-সহিংসতায় দেশব্যাপী যে গুমোট অবস্থা ছিল, তা কাটতে শুরু করেছে। এদিকে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষে, ঢাকা শহরসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।